জুলাই বিপ্লবে ঘরে থাকা ব্যক্তিরা জনগণের ভাষা বুঝবে না : বাঁধন

ছবি : সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক

০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। সাধারণত ক্যারিয়ার নিয়েই বেশি কথা বলতে দেখা যায় তাকে। তবে দেশের বিভিন্ন সময় সমসাময়িক ইস্যু এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে দেখা যায় তাকে। সেই ধারাবাহিকতায় জুলাই অভ্যুত্থানে বেশ সোচ্চার ছিলেন এ অভিনেত্রী। সাম্প্রতি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নারী নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী বাঁধন। এ কারণে কটাক্ষের শিকারও হতে হয়েছে। তার ভাষ্যমতে―বিপ্লবের দিনগুলোয় যারা রাজপথে ছিলেন না, তারা কখনোই জনগণের ভেতরের ভাষা বুঝতে পারবেন না।


কেন অপমানের শিকার হলেন হানিয়া আমির?

বুধবার (২ জুলাই) ফেসবুক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে অভিনেত্রী বাঁধন লিখেছেন, ‘যারা জুলাই বিপ্লবকে ভুল বলেন, তাদের জন্য দুঃখ হয় আমার। ওই মুহূর্তে সেটাই ছিল জেগে উঠার সঠিক সময়। বলা যায়, সময়ের প্রয়োজনে জেগে উঠা। অনেক মানুষ যে পরিমাণ বিচারহীনতার মুখোমুখি হচ্ছিল, তা মানবিকভাবে ভেঙে পড়ার পর্যায় পৌঁছেছিল।’


এ তারকা আরও লিখেছেন, ‘একটি কথা, সরকার রাতারাতি ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠেছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠে তারা। ধীরে ধীরে মানুষের নৈতিক দাবি ও কথা বলার অধিকার হরণ করে। এখানে আর কোনো উপায় ছিল না।’

তিনি লিখেছেন, ‘বিপ্লবের দিন যারা রাজপথে ছিলেন না, তারা কখনোই জনগণের ভেতরের ভাষা বুঝতে পারবেন না। ওই সময় সে কাপুরুষের মতো দেশ থেকে পালিয়েছিল। ওই আনন্দটি সত্যিকারের ছিল। আমি ওই জয়ের আনন্দ প্রতিটি হৃৎস্পন্দন দিয়ে অনুভব করেছিলাম। রাস্তায় এ ধরনের স্বাধীনতা এবং শক্তি অনুভব করার অভিজ্ঞতা জীবনে একবারই হয়েছিল।’

এছাড়া জুলাই বিপ্লব পরবর্তী প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, বিপ্লবের পর অনেক কিছু ঘটেছিল এবং সেগুলো সবই আনন্দময় অনুভূতির ছিল না। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, সময়ের প্রয়োজনে সঠিক ছিল জুলাই বিপ্লব।’

এদিকে ক’দিন আগেই কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ ও নিগ্রহের ঘটনা নিয়েও প্রতিবাদ করেন বাঁধন। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রেখেছিলেন। এ নিয়েও ফেসবুকে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন এ তারকা।