এনামুল হক ভূঁইয়া ধনুর বিরুদ্ধে মামলায় নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রতিবাদলিপি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন ন্যাশনাল বোর্ডের

ছবি : আওয়ার বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন ন্যাশনাল বোর্ডের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এনামুল হক ভূঁইয়া ধনুর বিরুদ্ধে মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এম এ হাশেম রাজু। প্রতিবাদপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘এনামুল হক ভূঁইয়া ধনু একজন মানবাধিকারকর্মী ও পরিবেশবাদী ব্যক্তিত্ব। অথচ একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট মামলা দায়ের করে তাকে হয়রানি এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।’


সমন্বয়ক পরিচয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই: নাহিদ ইসলাম

সম্প্রতি ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোবারক উদ্দিন মাহমুদ সাজু তার বিরুদ্ধে ফেনী জজকোর্টে একটি ‘হয়রানিমূলক মামলা’ দায়ের করেন।



প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, গত বছর বিএনপির এক দফা আন্দোলন চলাকালে এই আওয়ামী লীগ নেতা সাজু চেয়ারম্যান কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগ এনে মানবাধিকার সংগঠক, আইনের সুশাসন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি এবং অধিকারবঞ্চিত মানুষের পক্ষে কাজ করা সাহসী ব্যক্তিত্ব এনামুল হক ভূঁইয়া ধনুকে র‌্যাব দিয়ে আটক করে একমাস সাতদিন ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দি রাখে। এই মিথ্যা ও সাজানো মামলা ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এখনো চলমান।

‘এনামুল হক ভূঁইয়া ধনুর বিরুদ্ধে ঢাকার ডিএমপিতেও মিথ্যা জিডি দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির ডাকে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করায় তাকে দীর্ঘদিন যাবৎ হামলা, মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

এনামূল হক ভূঁইয়া ধনু ১৯৯১ সাল থেকে ওয়ান ইলেভেন পর্যন্ত বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকাল ও তৎকালীন বনানীস্থ বিএনপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ও অনলাইন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা) আসনে বিএনপির প্রার্থী রফিকুল আলম মজনুর প্রধান মিডিয়া সমন্বয়কারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গত দুই বছর ঢাকা উত্তর মেয়র নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ‘যার ফলে পুলিশ তাকে আটক করে মিরপুর থানায় নিয়ে যায়। সেখানে ২৪ ঘণ্টা হাজতে আটকে রাখে।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন ন্যাশনাল বোর্ডের চেয়ারম্যান এমএ হাশেম রাজু আরো বলেন, অবিলম্বে আ.লীগ নেতা মোবারক উদ্দিন মাহমুদ সাজু চেয়ারম্যানকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

মামলা
বিএনপি
মানবাধিকার