ঐক্যবদ্ধভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চায় জাতীয় পার্টি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে যে নেতারা বিভিন্ন সময়ে নানা দল তৈরি করেছেন, তারা ফের একজোটে আসতে চান ৷ বিগত কয়েক বছরে জাতীয় পার্টি থেকে যে নেতারা নানা কারণে বহিষ্কৃত হয়েছেন, তারা সেই সাবেক নেতাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গড়ে তুলতে চান। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় পল্লীবন্ধু এরশাদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণসভায় তারা এ ঘোষণা দেন।

 

শাপলা গণহত্যার নেপথ্যে যারা

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির সাবেক সিনিয়র কো চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক তিন কো চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, জনতা পার্টি বাংলাদেশ-জেপিবির প্রধান উপদেষ্টা সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন, জাপার সাবেক ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা, খুলনা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল ইসলাম জহির, জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া ৷


আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির (মতিন) মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য দিদারুল আলম চৌধুরী, জাপার সাবেক সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন।

এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আসুন আমরা শেষ জীবনে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করি। দেশে আবারও পরিবর্তন আসবে। আমরা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করে যাব ৷’

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘মহান আল্লাহর নাম নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি গড়ে তুলব ৷ যৌথ নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব ৷ দেশ ও জাতির প্রয়োজনে, ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থে আমরা জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করব ৷ আজকে থেকে আল্লাহর নামে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে চলব ৷ কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নাই।’ 

শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আর ফিরতে পারবে কি না তা আমরা জানি না ৷ জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পরে বিএনপির জনপ্রিয়তাও নিচের দিকে ৷ আজকে দেশের মানুষ বিএনপি, আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি হিসেবে জাতীয় পার্টিকে দেখতে চায় ৷’

এ সময় তিনি জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা যদি এক হন, যদি অল্টারনেটিভ শক্তি হিসেবে দলকে দাঁড় করাতে পারেন, তবে আমরা আপনাদের সাথে আছি। ’ 

একই কথা বলেন দলটির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন ৷ তিনি বলেন, ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ যদি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনও পেয়ে যায় তবেও আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে আমরা সবাই মিলে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলব ৷’

জাফর আহমেদ জয় বলেন, ‘মানুষ বলে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা চার পাঁচটা ভাগে ভাগ হয়ে নিজেরা নিজেদের সর্বনাশ করেছে ৷ তাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবোঝির হয়েছে, তা সমাধান করা সম্ভব ৷ কারণ, তাদের মধ্যে কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই। তাই আজকে জাপাকে একতাবদ্ধ করতে আমাদের মুরুব্বি ও গার্জিয়ানদের বলছি, দলকে একতাবদ্ধ করতে আপনাদের আজ থেকেই চাপে রাখব ৷’ 

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উদ্দেশ্যে শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সব বিভেদের অবসান ঘটিয়ে দলকে যদি ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন, তবেই দল আগামী দিনে ভালো ফলাফল প্রত্যাশা করতে পারে ৷ আপনি বিভেদ ভুলে যান ৷ ঐক্যের প্রক্রিয়ায় সামিল হন।’