ভিভিআইপি হয়ে খালেদা জিয়া যেসব সুবিধা পাচ্ছেন

ফাইল ফটো

নিউজ ডেস্ক

০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম

বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় কয়েক দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সোমবার (১ ডিসেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তাঁকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ‘ভিভিআইপি’ ঘোষণা করেছে সরকার। একই সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিয়োগ দেওয়া হয়।


স্বৈরাচারের প্রতিপক্ষ ছিল ইসলাম

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১-এর ধারা ২(ক)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ‘‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে।’


অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’’ হিসেবে খালেদা জিয়া যেসব সুবিধা পাবেন—

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন, ২০২১-এর ২ ধারার ক অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, “অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি” অর্থ সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধান এবং এই আইনের উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, অনুরূপ ব্যক্তি বলিয়া ঘোষিত অন্য কোনো ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন।

আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে খালেদা জিয়াকে এসএসএফ দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান করবে। তাঁর নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইনে বলা হয়েছে, ‘যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাহাদের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান করা বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হইবে।’

এছাড়াও এসএসএফ ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাইতে পারে এইরূপ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান করিবে এবং তাহাদিগকে দৈহিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।’

আইনে বলা হয়েছে, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এবং ধারা ৭-এর বিধানাবলিকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, যে স্থানে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাস করিতেছেন বা অবস্থান করিতেছেন বা যে স্থান দিয়া অতিক্রম করিতেছেন বা অতিক্রমণ আসন্ন সেইস্থানে বা স্থানের নিকট কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি বা চলাচল অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির দৈহিক নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ব্যতীত গ্রেপ্তার করিতে পারিবেন এবং যদি উক্ত ব্যক্তি গ্রেপ্তার প্রচেষ্টায় বলপ্রয়োগক্রমে বাধা প্রদান করেন অথবা গ্রেপ্তার এড়াইবার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার কার্যকর করণার্থে প্রয়োজনীয় সকল উপায় অবলম্বন করিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ হুঁশিয়ারি প্রদানের পর তাহার উপর গুলিবর্ষণ করিতে পারিবেন অথবা তাহার উপর এইরূপ অন্য কোনো বলপ্রয়োগ করিতে পারিবেন যাহাতে তাহার মৃত্যু হয়।’