মাহে রমজানের প্রস্তুতি ও দোয়া

প্রতীকী ছবি
১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
হিজরি ক্যালেন্ডারের সপ্তম মাস রজব। রজবের পর শাবান, তারপরই পবিত্র মাহে রমজান। অর্থাৎ রজব মাস শুরু হয়েছে মানে রমজান মাস শুরু হতে আর দুইমাস বা তারও কম সময় বাকি আছে। নবিজি (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতেন। রজব মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন। আল্লাহর কাছে রমজান পর্যন্ত পৌঁছার তাওফিক চেয়ে বেশি বেশি দোয়া করতেন।

হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ লাইলাতুল কদর
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন রজব মাস শুরু হতো নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ দোয়াটি পড়তেন,
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ وَشَعْبَانَ وَبلغنا رَمَضَانَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শা’বান ওয়া বাল্লিগনা রমাদান। অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত দিন। (আল-মু’জামুল আওসাত: ৩৯৩৯)
রজব মাসে নবিজিকে (সা.) অনুসরণ করে আমরাও এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে পারি। পাশাপাশি রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে নফল রোজা, নামাজ ও দান-সদকা বাড়িয়ে দিতে পারি।
রজব মাস ইসলামে অত্যন্ত সম্মানিত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে যে চারটি মাসকে ‘আশহুরে হুরুম’ বা সম্মানিত মাস ঘোষণা করেছেন রজব মাস সেগুলোর অন্যতম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে আল্লাহর বিধানে মাস বারটি। এর মধ্যে চারটি মাস বিশেষভাবে হচ্ছে সম্মানিত। এটাই হচ্ছে সুপ্রতিষ্ঠিত ধর্ম।’ (সুরা তওবা: ৩৬)
বিদায় হজের সময় মিনা প্রান্তরে প্রদত্ত ভাষণে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্মানিত মাসগুলোকে চিহ্নিত করে বলেন, তিনটি মাস হলো ধারাবাহিক— জিলকদ, জিলহজ ও মহররম, অপরটি হলো রজব। (সহিহ বুখারি: ৩১৯৭, সহিহ মুসলিম: ১৬৭৯)
ইমাম আবু বকর জাসসাস (রহ.)-বলেন, এসব মাসে ইবাদতের প্রতি যত্নবান হলে বাকি মাসগুলোতে ইবাদত করা সহজ হয়। আর এ মাসগুলোয় গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলে অন্য মাসেও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়। (আহকামুল কুরআন লিল জাসসাস: ৩/১১১)
তাই সম্মানিত মাসসমূহের অন্যতম রজব মাসের মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে যত্নবান হতে হবে।