আশুরার রোজা রাখা ছিল ফরজ

প্রতীকী ছবি

ইসলাম ডেস্ক

০৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম

মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকেই দিনটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যুগে যুগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও ঘটেছে এদিনে। যেমন—এদিনে হজরত মুসা (আ.)-এর ওপর আসমানি কিতাব তাওরাত অবতীর্ণ হয়। তিনি ও তার উম্মত ফেরাউনের অত্যাচার-নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। (সহিহ্ বুখারি: ২০০৪)। মহাপ্লাবনের পর হজরত নুহ (আ.)-এর কিসতি জুদি পাহাড়ে থেমেছিল আশুরার দিনেই। (মুসনাদে আহমদ: ৮৭১৭)।


সঞ্চয়পত্রের মুনাফা গ্রহণ করা হারাম

মহররম মাস আল্লাহর নিকট সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য মহররমকে আল্লাহর মাস বলে ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মহররম হলো আল্লাহর মাস।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬৩)। এ মাসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো আশুরার দিন। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে এই দিনের রোজা ফরজ ছিল। পরবর্তীকালে তা নফলে পরিণত হয়।


হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘জাহেলি যুগে কুরাইশরা আশুরার দিন রোজা রাখত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-ও রোজা রাখতেন। তিনি যখন হিজরত করে মদিনায় এলেন, তখনো এই দিন নিজে রোজা রাখতেন এবং অন্যকে রোজা রাখতে আদেশ করতেন। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর আশুরার (রোজার) গুরুত্ব দেওয়া পরিত্যাগ করলেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২০০২)

আশুরার দিন রোজা রাখার বিভিন্ন ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো, এদিনের রোজা পূর্বের এক বছরের গুনাহ মিটিয়ে দেয়। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আশুরার রোজা সম্পর্কে আমি আল্লাহর নিকট আশাবাদী যে এর মাধ্যমে তিনি বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)।

এদিন রোজা রাখার নিয়ম হলো, পূর্বাপর কোনো একদিন মিলিয়ে মোট দুই দিন রোজা রাখা। অর্থাৎ আশুরার দিনের সঙ্গে মিলিয়ে ৯ অথবা ১১ তারিখও রোজা পালন করা। এটি মোস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আশুরার দিন রোজা রাখো এবং ইহুদিদের ব্যতিক্রম করো। তার আগের এক দিন কিংবা পরের এক দিন (মিলিয়ে দুই দিন) রোজা রাখো।’ (সহিহ্ ইবনে খুজাইমা: ২০৯৫)