অবশেষে আসছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

ছবি : সংগৃহীত
১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
ঢাকার সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রক্রিয়াধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান এস এম এ ফায়েজসহ অন্যদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

যারা ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি চায় তাদের গ্রেফতারের দাবি
এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত ইডেন মহিলা কলেজের সমাজবিজ্ঞান এক ছাত্রী বলেন, সভায় সবকিছু বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামটি ঠিক করা হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কী হবে, এ নিয়ে প্রতিনিধি দলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি মত আসে। তাদের মধ্যে ১৭ জন ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে মত দেন। তবে অন্য শিক্ষার্থীরা এই নাম চান না। তারা বলছেন, ঢাকা কলেজের পূর্ব নাম ছিল ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ। তারা ফেডারেল ইউনিভার্সিটি নামের পক্ষে মত দেন। পরে ইউজিসি তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলে। পরে তারা আলোচনা করে একটি নামের পক্ষে নিজেদের মত দেন।
ঢাকার আলোচিত সাত সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ। শিক্ষক এক হাজারের বেশি।
এই কলেজগুলো একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ছিল। ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু অধিভুক্ত করার পর থেকে বিভিন্ন দাবিতে একের পর এক আন্দোলন করে আসছেন সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এক পর্যায়ে গত জানুয়ারিতে এই সাত কলেজকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আলাদাভাবে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিতে জোর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাত কলেজ নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় সরকার। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে এই কমিটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’ করার বিষয়ে আালোচনা করেছিল। সেটি নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়ায় পরে নাম আহ্বান করেছিল কমিটি। সর্বশেষ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এই নাম ঠিক করা হয়েছে।